সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Reading of Technology

Cutting-Edge Technology

Cutting-edge technology represents the forefront of innovation, embodying the latest advancements that push the boundaries of what is possible in various fields. It encompasses breakthroughs in artificial intelligence, quantum computing, biotechnology, and more, fundamentally transforming the way we live and work. In the realm of artificial intelligence, machine learning algorithms and neural networks are enabling computers to learn and make decisions, mimicking human cognitive functions. Quantum computing, with its ability to process information at speeds unimaginable with classical computers, holds the promise of revolutionizing complex problem-solving in fields like cryptography and optimization. Biotechnology is unlocking new frontiers in healthcare, with gene editing technologies like CRISPR-Cas9 offering unprecedented precision in modifying DNA, potentially curing genetic diseases. Cutting-edge technology also extends to the realm of renewable energy, where innovations in solar a

Internet of Things: From Beginning to End

ইন্টারনেট অফ থিংস-কে সংক্ষেপে আইওটি বলে, যার বাংলা অর্থ হল বিভিন্ন জিনিসপত্রের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ

বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্র বা জিনিসপত্রকে অটোমেটিক করার জন্য এসবের সাথে কম্পিউটার সিস্টেম সংযুক্ত থাকে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কাপড় ধোয়ার মেশিন। কাপড়ের পরিমান এবং ওজন বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করে কাপড় ধোয়ার কাজটি অটোমেটিক ভাবে করার জন্য এই মেশিনের সাথে কম্পিউটার সিস্টেম সংযুক্ত থাকে, যাকে আমরা এমবেডেড সিস্টেম (Embedded System) বলি। 

জিনিসপত্রের এই কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে আমরা তাকে বলছি ইন্টারনেট সংযোজিত জিনিসপত্র বা ইন্টারনেট অব থিংস। এই প্রযুক্তিতে আমাদের ঘরের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্রিজ, লাইট এগুলো ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং নেটওয়ার্কের এর সাথে সংযুক্ত থাকার কারণে এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়

নিকটবর্তী ভবিষ্যতে 200 বিলিয়ন ডিভাইসের সাথে যুক্ত হওয়ার অনুমান রয়েছে। বাজারের মূল্য 80 বিলিয়ন ডলারে অনুমান করা হয়

নামকরণ ইতিহাস

ইন্টারনেট অব থিংস পরিভাষাটির প্রচলন শুরু হয় ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অটো-আইডি ল্যাবের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক কেভিন অ্যাশটনের মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালে পি অ্যান্ড জি কোম্পানির একটি প্রজেক্টে কাজ করার সময় কেভিন ইন্টারনেট অব থিংস পরিভাষাটি ব্যবহার করেন

আইওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

আইওটি এখন শুধুমাত্র ডাটা সংগ্রহ করে সার্ভারে প্রদান করছে, কিন্তু আমরা এখন দ্বিতীয় ধাপে দেখতে পাচ্ছি যেখানে আমরা এই সেন্সর গুলো থেকে লব্ধ তথ্য গুলিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর মাধ্যমে এটাকে যাচাই করে দেখতে পারবো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্যাটার্ন গুলোকে পর্যবেক্ষন করে দেখবে এখানে কোন এলার্ট বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে কিনা

আপনার সরল মনে প্রথমেই যে প্রশ্নটি নাড়া দিতে পারে, তা হচ্ছে এই আই টি শিখে আপনার কি লাভ! সুতরাং বিষয়টা যখন লাভ-ক্ষতির, তাই আমরা প্রথমেই কয়েকটি দৃশ্যপট নিয়ে আলোচনা করবো।

দৃশ্যপট  : ধরুন দুই ছেলে-মেয়ে,স্ত্রী আর বৃদ্ধ মা বা কে নিয়ে আপনার সংসার। আপনি আর আপনার স্ত্রী দুইজনই কর্মজীবী। স্বভাবতই দুজন সারাদিন সারাসপ্তাহ খুব ব্যস্ত থাকেন। তাই অনেক সময় সাংসারিক ছোটখাটো কিছু কাজে ভুল হয়ে যায় অথবা আপনারা ভুলে যান। যেমন, শুক্রবারে সাপ্তাহিক বাজারের লিস্টে আপনার স্ত্রী আপনাকে টমেটোর কথা বলতে ভুলে গিয়েছেন। কিংবা ঘরে আগে থেকেই পর্যাপ্ত আলু থাকা সত্ত্বেও আপনি ভুল করে আরো আলু নিয়ে এসেছেন। আপনার বাবার ডায়াবেটিকস এর ইনস্যুলিন আনার কথা মনে নেই আপনার। আপনার ছোট মেয়েটা ফ্রিজ খুলে চকলেট নিয়ে দরজা বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছে। ব্যস, খেলো মায়ের হাতের ধরাম ধরাম মাইর। ভাবুন তো, যদি এমন হতো, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিনা শ্রমে আপনি জেনে যেতেন যে ঘরে কি কি বাজার আছে। কার কি কি ঔষধ লাগবে। অথবা ফ্রিজের দরজা, বাথরুমের কল খোলা থাকলে আপনি নিমিষেই নোটিফিকেশন পেয়ে যেতেন। কি! স্বপ্ন মনে হচ্ছে তাই তো? প্রযুক্তির এই যুগে দাড়িয়ে এটা এখন আর স্বপ্ন নয় বরং সত্যি! এই সবই আপনি পেতে পারেন আই টি কল্যাণে!

দৃশ্যপট : একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে আমরা সবাই স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, স্মার্টব্যান্ড আরো অনেক স্মার্ট ডিভাসের কথা শুনেছি। আচ্ছা,ভাবুন তো, আপনি যেই শহরে থাকেন, সেই গোটা শহরটাই যদি হয়ে যায় স্মার্ট সিটি! আরেকটা খোলাসা করে বলি ব্যাপারটা। কল্পনা করুন এমন একটা শহরে আপনি থাকেন যেখানে দিনের আলো না থাকলেই অটোম্যাটিকেলি শহরের রাস্তায় লাইট অন হয়ে যাবে। ধরুন আপনি সকাল্র টায় অফিসের জন্য রওনা হন। একদিন সকালে GPS এর মাধ্যমে আপনি জেনে গেলেন যে আপনি যে রুটে যাতায়াত করেন সেখানে জ্যাম আর তার সাথে এটাও জেনে গেলেন যে অন্য কোন রাস্তা ধরে আপনি দ্রুত অফিসে পৌছাতে পারেন। ভাবুন তো এমন একটা শহর যেখানে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা না ফেললে সাথে সাথে নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে আপনাকে সতর্ক করে দেয়া হবে। ধরুণ, কোনো একটা রাস্তায় এক্সিডেন্ট হয়েছে। কয়েক মুহূর্তেই পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস এম্বুল্যান্স সব হাজির অথচ তাদের ফোন করে করে ডেকে আনা হয়নি, এসেছেন নিজের গরজে! কি ভাবছেন?? তো অসম্ভব! না! আই টি খাতিরে এইসব কিছুই সম্ভব

দৃশ্যপট : আপনি একজন শৌখিন মানুষ। বারান্দায় ফুলের গাছ লাগানো, নিজের উঠোনে সবজি চাষ করার আপনার খুব শখ। কিন্ত ব্যস্ততার জন্য এইসব কিছুই হয়না! যত্ন করবে কে? তাহলে কি আপনার শখের জিনিসগুলো আর হবে না? নিশ্চই হবে! আপনার জন্য আছে আটো ইরিগেশন সিস্টেম যেখানে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, সফটওয়ার এরাই বুঝবে কখন আপনার শখের ফুল গাছের পানি দরকার, কখন দরকার সার। কি মজার না ব্যাপারগুলো! আই টি কে ব্যবহার করে এরকম আরো অনেক মজার মজার কাজ করা যায়। সেগুলো নিয়ে আমরা একটু পরে আলোচনা করবো।

তো আমরা মোটামুটি বুঝে গেলাম আই টি আমাদের জীবনে কি ধরণের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। এবার নিশ্চইয় জানতে ইচ্ছে করছে কি এমন আলাদিনের চেরাগ আছে এতে, যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এত কাজ করে ফেলছে! তাহলে চলুন এবার আই টি নিয়ে গুরুগম্ভীর কিছু কথা বার্তা জেনে আসি।

যেভাবে কাজ করে

IoT কে কখনো IoE (ইন্টারনেট অফ এভরিথিং) বলা হয়। এটা আসলে এমন কিছু ওয়েব-এনএবলেড ডিভাইস এর সমন্বয়ে গঠিত যারা এমবেডেড সেন্সর,প্রসেসর কমিউনিকেশন হার্ডওয়ার ব্যবহার করে আশপাশ থেকে তথ্য গ্রহণ করে এবং এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে পাঠায়। এদের Connected অথবা Smart Device বলে। মানুষ চাইলে নিজের পছন্দ সুবিধামতো তাতে ডাটা এন্ট্রি করতে পারে সেট আপ দিতে পারে। আসুন IoT কর্মপদ্ধতি একটূ নিজ চোখে দেখে নেই। নিচের ভিভিও খুব সুন্দর করে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

তো আইওটি আলোচনা করার পর অনেকের হয়তো জানতে ইচ্ছে করছে এই আইওটির ভবিষৎ কি। অথবা টেক বিশ্বে এর প্রভাব কতটুকো! তাহলে আসুন ছোট্ট করে একটু জেনে আসি!  

বিষেশজ্ঞদের হিসেব মতে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ বিলিয়ন অবজেক্ট আইওটি অন্তর্ভুক্ত হবে। আইওটি অগ্রগতি নিয়ে HP একটা ছোট্ট জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী আমরা জানতে পারে কিভাবে প্রতিবছর চমকপ্রদভাবে আই টি ব্যবহার বেড়েই চলেছে।

আচ্ছা, এতো কিছু তো জানলাম আইওটি নিয়ে। এবার নিশ্চই আপনার মনে আগ্রহ উঁকিঝুঁকি মারছে, এই জিনিস এর শুরুটা কিভাবে? চলুন তাহলে আপনার কৌতুহল মেটানোর জন্য একটু পুরোনো কাসুন্দি ঘেটে আসি।

আইওটি ইতিহাস

স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে এই কনসেপ্ট খুব বেশি দিনের নয়। ১৯৮২ সালের শুরুর দিকে প্রথম এই বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়। Carnegie Mellon University ‘ মোডিফাইড কোক মেশিন ছিলো সর্বপ্রথম ইন্টারনেট কানেকটেড ডিভাইস। এই যন্ত্রের ফিচারগুলো ছিলো এরকম যে, এটি কোনো একটা কোল্ড ড্রিংক এর উপাদানের পার্সেন্টটিজ সম্পর্কে কাস্টমার কে অবগত করতে পারতো আর সেটি কাঙ্ক্ষিত লেভেল এর ঠান্ডা কি না তাও নির্ণয় করতে পারতো। ১৯৯১ সালে মার্ক উইসারের একটা পেপার প্রকাশিত হয়। সেখানে “Ubiquitous Computing“, “The computer of the 21st Century ” এছাড়াও কিছু একাডেমিক ভেন্যু যেমন “Ubicomp” এবং “Percom” নামের কিছু বিষয় আলোচিত হয় যার মধ্যে আইওটি নিয়ে একটা সমসাময়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়। ১৯৯৪ সালের ঘটনা। IEEE spectrum রেজা রাজি আইওটি ব্যাপারটা কে এইভাবে তুলে ধরেন যে,

একটা প্যাকেট অফ ডাটা যাকে বড় কোনো নোডে এপ্লাই করে গৃহস্থালি জিনিসপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনগুলোকেও অটোম্যাট করে

১৯৯৯ সালে বিল জয় তার সিক্স ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক এর অংশ হিসেবে ডিভাইস টু ডিভাইস (D2D) কমিউনিকেশন এর কথা কল্পনা করেন এবং তার এই ধারণা World Economic Forum প্রস্তাব করেন। বছরই MIT ‘ Auto -ID Centre এবং এর সাথে সম্পর্কিত মার্কেট এনালাইসিস পাবলিকেশন এর সুবাদে আই টি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। Auto-ID Centre এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কেভিন এজথ কে Radio Frequency Identification (RFID) নিয়ে অবগত করা হয়। তার পছন্দানুযায়ী এই পুরো ব্যাপারটার নামকরণ করা হয় ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT)

আর্টিকেলের প্রথমে আমরা ৩টি দৃশ্যপট থেকে আইওটির কিছু ব্যবহার জেনেছিলাম। এছাড়াও আইওটির রয়েছে আরো বহুমুখী অ্যাপ্লিকেশন। তো চলুন এবার একনজরে এর চমৎকার কিছু এপ্লিকেশন দেখে আসি।

স্মার্ট হোম: আইওটি সম্পর্কিত যেইসব ফিচারগুলো নিয়ে গুগলে সব থেকে বেশি খোঁজাখুঁজি করা হয়, তারমধ্যে সর্বপ্রথম হচ্ছে স্মার্ট হোম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে স্মার্ট হোম কি?

যেখানে নিজে থেকেই একটা বাড়ির সমস্ত কিছুর খবরাখবর থাকে হাতের মুঠোয়। এটাই আসলে স্মার্ট হোম। অর্থাৎ কম সময়ে, কম পরিশ্রমে একটা বাড়িকে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করা। স্মার্ট সিটি : স্মার্ট সিটি কি সেটা নিয়ে আগেই বলা হয়েছে।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট : ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট নিয়ে। একে আবার এক নতুন নাম দেয়া হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট অফ থিংস (IIoT) এটা নতুন নতুন সব সেন্সর, সফটওয়ার, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বিগ ডাটা এনালাইসিস এর মাধ্যেম নতুন নতুন সব মেশিন তৈরীতে কোম্পানীগুলোকে উদ্ধুদ্ধ করছে। GE Electric এর সিইও জেফ ইম্মেল্ট এর মতে, IIoT একটা খুব সুন্দর, অতি প্রত্যাশিত বিনিয়োগ যোগ্য একটা জায়গা। IIoT’ সুবাদে আজকাল এমন কিছু স্মার্ট মেশিন তৈরী হয়েছে যা কি না একটা কোম্পানীর বাৎসরিক আয়-ব্যয়,লাভ -লোকসান, এইসব কিছুর হিসাব মানুষের চেয়েও দ্রুত এবং নির্ভুল ভাবে বের করতে পারে।

পরিধাণযোগ্য ডিভাইস : এই জিনিসটার বর্তমানে সারা বিশ্ব জূড়ে বেশ চাহিদা। তাই তো গুগল, স্যামসাং এর মতো নামজাদা কিছু কোম্পানী এর পিছনে বিনিয়োগ করছে। কি ভাবছেন? আসলে এই ডিভাইসগুলো এমন কিছু সেন্সর আর সফট ওয়ার এর কারসাজি যেগুলো কি না ইউজার সংক্রান্ত ডাটা কালেক্ট করে এবং সেগুলোকে প্রসেস করে আউটপুট দেখায়।

আইওটিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা

বিশ্বব্যাপী আইঅটি এখন একটি বড় সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি। তাই বাংলাদেশের সরকার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর গুরুত্ব অনুধাবন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে আইওটির বিভিন্ন প্রকল্পসহ মিরপুরে আইওটি ল্যাব নির্মাণের জন্য অনুদান দিয়েছে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাটা-সফট বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আইওটি নিয়ে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সুইডেনের নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন বাংলাদেশের জন্যইন্টারনেট অব থিংসনামের একটি পোর্টাল চালু করেছে

আইওটি কম্পোনেন্টগুলো কি কি?

আইওটি কম্পোনেন্টগুলো হলো-

  • পিপলস
  • ইনফ্রাস্ট্রাকচার
  • থিংস
  • প্রসেস
  • ডাটা

পিপলস: পিপলস হলো যারা আইওটি ডিভাইসগুলো ব্যবহার করবে

ইনফ্রাস্ট্রাকচার: ইনফ্রাস্ট্রাকচার হলো ইন্টারনেট কানেকশন

থিংস: থিংস হলো যে ডিভাইসগুলো কানেক্টড থাকবে যেমন- ক্যামেরা, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি

প্রসেস: যে পদ্ধতি এই থিংসগুলো কানেক্টড থাকবে

ডাটা: এই প্রসেস এর সকল তথ্য যেখানে জমা থাকবে যেমন- হ্যাডপ

আইওটির বিভিন্ন ব্যবহার

আইওটি এ্যাপ্লিকেশনসগুলো যে সব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যবহার করা হয়

  • ম্যানুফ্যাকচারিং
  • হেলথ ক্যায়ার
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল শহর তৈরি করার ক্ষেত্রে
  • সিকিউরিটি
  • মেডিক্যাল
  • ট্রান্সপরটেশন
  • হসপিটাল
  • রুম অটুমেশন করার ক্ষেত্রে ইত্যাদি

আইওটি কেইস স্টাডিস

সিঙ্গাপুর আইওটি ডেপলয়মেন্ট

২০১৪ সালে সিঙ্গাপুর স্মার্ট সিটি হিসেবে ঘোষণা করা হয় সিঙ্গাপুর এর রাস্তায় যখন গাড়ি চলাচল করে তখন গাড়ির স্পীড ডিসপ্লে করে

যেমনঃ স্পীড ডিটেকটর

বার্সেলোনায় আইওটি ডেপলয়মেন্ট:

বার্সেলোনা তে স্মার্ট লাইট এবং সেন্সর বসানো হয়েছে যার ফলে কোন মোশন ডিটেক্ট করলেই বাতি জ্বলে উঠে।

যেমনঃ মোশন ডিটেক্টর

সান ফ্রান্সিসকোয় আইওটি ডেপলয়মেন্ট

সান ফ্রান্সিসকোতে ২০১১ সালে স্মার্ট পার্কিং সিস্টেম চালু করে ফলে আসেপাশে কোথায় গাড়ি পার্কিং করা যাবে সহজেই জানতে পারে

যেমনঃ স্মার্ট পার্কিং সিস্টেম

বাংলাদেশ আইওটি ডেপলয়মেন্ট

বাংলোদেশে কৃষিতে আইওটি ডেপলয় করা হয়েছে ফলে শস্যে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না তা সহজেই জানতে পারে

যেমনঃ আইওটি ইন এগ্রিকালচার

আইওটি সিকিউরিটি

একসময় মনে করা হতো আইওটি ডিভাইসগুলো যেহেতু ছোট এগুলো সাধারণত হ্যাকাররা হ্যাক করতে আসবে না কিন্তু এই ধারণাটি ছিল ভুল এখন দেখা যায় হ্যাকারদের একটি বড় টার্গেটই হচ্ছে এই আইওটি ডিভাইসগুলো তাই এই ডিভাইসগুলো প্রটেক্ট করার জন্য ফায়ারওয়াল, আইডিএস, আইপিএস ব্যবহার করা হয়

আইওটিতে যে অ্যাটাকগুলো সাধারণত হয়ে থাকে?
  • ডিডস অ্যাটাক
  • ওয়ার্ম অ্যাটাক
  • ভয়েস এবং সাউন্ড অ্যাটাক

ডিডস  (DDOS)অ্যাটাক

ডিডস অ্যাটাক হলো ডিস্ট্রিবিউটেড ডেনিয়াল অফ সার্ভিস অ্যাটাক সাধারণত এই ধরনের অ্যাটাক যেভাবে হয় তাহলো বিভিন্ন যায়গা থেকে একসাথে অ্যাটাক করে

ওয়ার্ম অ্যাটাক

ওয়ার্ম অ্যাটাক এর বড় অসুবিধা হলো, এই ধরনের অ্যাটাক হলে সব যায়গায় ছড়িয়ে পরে যেমন- একটি লাইট বাল্ব এর অ্যাটাক হলে শহরের সবলাইটের মধ্যে এফেক্ট ঘটবে

ভয়েস এবং সাউন্ড অ্যাটাক

বেশিরভাগ আইওটি ভিজাইসগুলোতে সেন্সর এর সাথে সাথে মাইক্রোফোন বিল্ট ইন থাকে যার ফলে অডিও বিকন এর মাধ্যমে খুব সহজেই অডিও কেপচার করা যায়

কিভাবে আইওটি ডিভাইসগুলোকে হ্যাকার কাছ থেকে রক্ষা করা যায়?

  • আইওটি ডিভাইসগুলো ফার্মওয়্যার সবসময় আপডেট রাখতে হবে
  • ভয়েস ডিটেকট সফটওয়্যার বন্ধ রাখতে হবে যখন ব্যবহার না করা হয়
  • কমিউনিকেশন এনক্রিপ্টশন মেথড ব্যবহার করতে হবে
  • এন্টি-ডিডস ব্যবহার করতে হবে
  • আইওটি ডিভাইসগুলোর মধ্যে অথেনটিকেশন ডেপলয় করতে হবে শুধুমাত্র ট্রাস্টেড ডিভাইসগুলো যোগাযোগ করতে পারবে ।   

 উৎসঃ  বাংলা উইকিপিডিয়া

Thank you for reading this post and encourage me to grow this blog further

মন্তব্যসমূহ

সাম্প্রতিক ব্লগগুলি পড়ুন

AI For ALL

    Artificial Intelligence and M achine L earning Introduction and U s e         M N Alam Dr. Vijay Laxmi                           Artificial Intelligence and Machine L earning Introduction and Use M N Alam Dr. Vijay Laxmi   Cover design and composition: Author   First Version, May 2023   Copyright: Author   ISBN: 978-984-34-9437-5   Publisher: New Book Centre 122, Islamia Market Nilkhet, Dhaka-1205   Price: BDT 450.00, USD 8.00               Introduction and Use of Artificial Intelligence and Machine Learning: published by New Book Centre. ISBN: 978-984-34-9437-5, the authors of this book have used their best efforts in preparing this book. These efforts include the development, research, and testing of the theories and programs to determine their effectiveness. The authors make no warranty of any kind, expressed or implied, with regard to these programs or the documentation cont

Cutting-Edge Technology

Cutting-edge technology represents the forefront of innovation, embodying the latest advancements that push the boundaries of what is possible in various fields. It encompasses breakthroughs in artificial intelligence, quantum computing, biotechnology, and more, fundamentally transforming the way we live and work. In the realm of artificial intelligence, machine learning algorithms and neural networks are enabling computers to learn and make decisions, mimicking human cognitive functions. Quantum computing, with its ability to process information at speeds unimaginable with classical computers, holds the promise of revolutionizing complex problem-solving in fields like cryptography and optimization. Biotechnology is unlocking new frontiers in healthcare, with gene editing technologies like CRISPR-Cas9 offering unprecedented precision in modifying DNA, potentially curing genetic diseases. Cutting-edge technology also extends to the realm of renewable energy, where innovations in solar a

Introduction And Use Of Artificial Intelligence And Machine Learning- Part 1

INTRODUCTION Intelligence is the ability to adapt to change -Stephen Hawking (UK, 1942-2018 )   জন ম্যাকার্থি ও তার লিস্প প্রোগ্রামিং  (৪ সেপ্টেম্বর, ১৯২৭ - ২৪ অক্টোবর, ২০১১) একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী । তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রোগ্রামিং ভাষা লিস্পের জনক । তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নামক পরিভাষার প্রচলন করেন । ম্যাকার্থি কম্পিউটারের টাইম শেয়ারিং মডেলটিও প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন । ১৯৬১ সালে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, যদি তার দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করা হয়, “টেলিফোনের ব্যবস্থা যেমন জনসাধারণের একটি ইউটিলিটি, ঠিক তেমন কোনও দিন কম্পিউটিংও জনসাধারণের একটি উপযোগী হিসাবে সংগঠিত হতে পারে এবং এটি একটি উল্লেখযোগ্য নতুন শিল্পের ভিত্তিতে পরিণত হতে পারে ।” এইভাবেই আজ ক্লাউড কম্পিউটিং বিক্রি হয় । তবে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং টাইম শেয়ারিং কাজের মধ্যে যখন বাছাই করতে বাধ্য করা হয়, তখন তিনি এআই বেছে নিয়েছিলেন । তিনি বলেছিলেন, “চূড়ান্ত প্রচেষ্টা কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করা যা সমস্যাগুলি সমাধান করতে পারে এবং মানুষের পাশা