Cutting-edge technology represents the forefront of innovation, embodying the latest advancements that push the boundaries of what is possible in various fields. It encompasses breakthroughs in artificial intelligence, quantum computing, biotechnology, and more, fundamentally transforming the way we live and work. In the realm of artificial intelligence, machine learning algorithms and neural networks are enabling computers to learn and make decisions, mimicking human cognitive functions. Quantum computing, with its ability to process information at speeds unimaginable with classical computers, holds the promise of revolutionizing complex problem-solving in fields like cryptography and optimization. Biotechnology is unlocking new frontiers in healthcare, with gene editing technologies like CRISPR-Cas9 offering unprecedented precision in modifying DNA, potentially curing genetic diseases. Cutting-edge technology also extends to the realm of renewable energy, where innovations in solar a...
বিশ্বের কোন শহরগুলি আইওটি ক্ষমতা ব্যবহার করছে? সারা বিশ্ব জুড়ে একটি প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে যে শহরে যেতে হবে । ফলে প্রতিদিন মানুষ শুধু শহরের দিকে ছুটছে । ইতোমধ্যে শহরগুলিতে মানুষের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যার বসবাস রয়েছে এবং বিশ্বের বৃহত্তর শহরগুলির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে । সমস্যাটি হল এই ধরনের বৃদ্ধি পাওয়া কয়েকটি শহর টিকে থাকার জন্যই নির্মিত হয়েছিল । সীমিত জায়গায় অতিরিক্ত লোকের ভিড়ে চরম ট্র্যাফিক জ্যাম, উচ্চ দূষণের মাত্রা এবং সম্পদ ও ইউটিলিটির উপর সাধারণ চাপ সহ জটিল অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে । সরকার এবং শহরবাসিরা এই সমস্যাগুলি দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে । ফলে মানুষের নিরাপত্তা এবং জীবন মানের হ্রাস ছাড়া এই চাপ সামলানোর উপায় খুঁজে বের করা এখন একটি স্থায়ী উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে । স্মার্ট সিটি কি ?
স্মার্ট শহরগুলি আইওটি ব্যবহার করে । সহজভাবে বলতে গেলে বোঝায় শহরের প্রবণতাগুলি আরও ভালভাবে বুঝতে এবং প্রধান কিছু সমস্যার সমাধান বের করার জন্য । যেমন, স্মার্টফোন, স্পিকার, বাড়িতে দৈনন্দিন ব্যবহারের যন্ত্রপাতি, গাড়ি, মেশিনের অংশ এবং ক্রমবর্ধমান বিভিন্ন বস্তুকে পাওয়ার এবং ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করা । ডিভাইসগুলি একটি বড় সিস্টেমের সাথে যেমন, সেন্সর সংযুক্ত গাড়ি, লাইট, মিটার ইত্যাদি সংযুক্ত করে প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদান করে । এই ডিভাইসগুলি তথ্য চিহ্নিত এবং ভাগ করে দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে পারে । এর ফলে শহরবাসীদের জন্য কি ধরনের পরিবর্তন বা নতুন প্রকল্প সবচেয়ে উপকার হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় । যেমন, গাড়ির গতি সনাক্তকরণ সেন্সর ব্যবহার করে সমস্ত চলাচল (যানবাহন, পথচারী, এবং সাইকেলেস্ট) নজর রাখা সম্ভব । সেই বিশাল তথ্য দিয়ে শহর পরিকল্পনাকারীরা নির্দিষ্ট সংযোগস্থলের বিপদগুলো মূল্যায়ন করতে পারে এবং তাদের নিরাপত্তা উন্নত করতে পদক্ষেপ নিতে পারে । সংযুক্ত ডিভাইসগুলি কেবলমাত্র তথ্য সংগ্রহ করে না, তারা সমস্যার সমাধান করতে ভূমিকা পালন করে । যেমন, অ্যাপ্লিকেশানগুলির মাধ্যমে দ্রুত পার্কিং স্পট খুঁজে পেতে সহায়তা করে বা স্মার্ট গ্রিড আরো দক্ষ ভাবে শক্তি বিতরণ করে ।
স্মার্ট শহরগুলো কি নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা ?
একটি শহর স্মার্ট তৈরীর সুবিধাগুলো সুস্পষ্ট বলে মনে হচ্ছে । অত্যধিক জনসংখ্যার সমস্যাগুলি ক্রমবর্ধমান হয় এবং এটি শহর আইন প্রণয়নকারীদের নতুন এবং দক্ষ সমাধান বের করতে সহায়তা করতে পারে তবে এটি করতে বিশাল একটি খরচের ব্যাপার রয়েছে । আর্থিক খরচ ছাড়াও স্মার্ট শহরগুলি গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ায় । শহরের ব্যস্ততম এলাকার জুড়ে সংযুক্ত ডিভাইসগুলি ইনস্টল করা হয় । কিছু কিছু ডিভাইস ইন্সটল করা হয় কি ঘটছে তা ট্র্যাক করার জন্য এবং কিছু ডিজাইন করা হয়েছে ভিডিও বা অডিও রেকর্ড করার জন্য যা অনেক লোককে অস্বস্তিকর করে তোলে । এইসব নজরদারিগুলি যদি উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য না হয় তবুও আইওটি ডিভাইসগুলি একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি করে যা বিশ্বকে সতর্ক করে প্রতিটি পদক্ষেপকে দেখানো হয় । এই মুহূর্তে স্মার্ট শহরে মানুষের গোপনীয়তা রক্ষার আইনটি প্রযুক্তির কাছে ধরা পড়েনি, কিন্তু এটি এমন কিছু যেটি শহর পরিকল্পনাকারী তাদের প্রোগ্রামগুলিকে সর্বোত্তমভাবে বাস্তবায়ন করতে বিবেচনা করছে ।
কিভাবে আইওটি শহরে প্রয়োগ করা হচ্ছে ?
শহর বিভিন্ন মাত্রায় এবং বিভিন্ন উপায়ে আইওটি ব্যবহার করেছে । একটি স্মার্ট শহর উদ্যোগ দেখতে কেমন হতে পারে তার একটি ধারণা এখানে পাওয়া যাবে । এখানে কিছু বড় উদাহরণ দেওয়া হল যা বিশ্বব্যাপী শিরোনাম তৈরি করছে ।
শিকাগো, ইলিনয়: অ্যারে অব থিংস
শিকাগো শহরে বেশ কয়েকজন গবেষকের সহযোগিতায় প্রায় শত শত নোড ইনস্টল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যা পরিবেশগত বিষয়গুলি, বায়ুর গুনগত মান, ট্র্যাফিক এবং আলোর তীব্রতা সম্পর্কিত তথ্য সন্ধান করবে । মজার বিষয় হল নোডগুলি দ্বারা সংগৃহীত তথ্যগুলি সর্বসাধারণের তথ্য এবং এটি কেউ ব্যবহার করতে চাইলে যেকোনো ব্যক্তির কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য । এই ধরণের তথ্য গবেষকরা পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলা করতে, শহরের পরিকল্পনাকারীরা অবকাঠামো প্রকল্প সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এমনকি নাগরিকরাও কাজ করতে সেরা রুটটি সনাক্ত করার চেষ্টা করতে পারে । অ্যারে অব থিংস প্রকল্প ইতোমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ ৫০০ নোড ইনস্টল করার লক্ষ্য রয়েছে ।
আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস: স্মার্ট সিটি ইনিশিয়েটিভ
আমস্টারডাম স্মার্ট সিটি ধারণাটির গোড়ার দিকে গ্রহণকারী এবং সম্ভবত এটি বিশ্বের অন্য যেকোনো শহর থেকে আরও বেশি কিছু করেছে । তারা কোম্পানি এবং নাগরিকদের কাছ থেকে সহযোগিতা উৎসাহিত করে এবং সক্রিয়ভাবে প্রকল্প ধারনা অনুরোধ করে । ৮০টি পাইলট প্রকল্প চালু করার সাথে সাথে অধিবাসীরা এবং নিকটস্থ সংস্থাগুলি দেখিয়েছে যে, তারা সৃজনশীল, সহায়ক নতুন সমাধানগুলি ব্যবহার করতে পেরে খুশি । প্রকল্পগুলিকে স্মার্ট গ্রিডের সাথে লিঙ্ক করার জন্য ঘরের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে এবং শক্তির ব্যবহারকে আরও দক্ষ করে তোলে । অ্যাপ্লিকেশানগুলি লোকেদের রাস্তার আলো প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে বা নিকটতম পাবলিক টয়লেট খুঁজে পেতে সহায়তা করে । পুরো শহর এবং ব্যবসা বাণিজ্যকে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে আমস্টারডাম শহরটির উন্নতিতে আইওটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ সম্ভাবনাগুলি অনুসন্ধান করছে ।
গ্লেন্ডেল, ক্যালিফোর্নিয়া: স্মার্ট ইউটিলিটি
গ্লেন্ডেল পানি এবং বিদ্যুৎ উভয়ের জন্য একটি স্মার্ট গ্রিড প্রয়োগ করে আইওটি ব্যবহার করছে । বিশ্বজুড়ে অনেক ভোক্তা স্মার্ট ইলেক্ট্রিক এবং ওয়াটার মিটারগুলি আরও কার্যকরভাবে এবং সফলতার সাথে তাদের ব্যবহার ট্র্যাক করার জন্য ইনস্টল করছেন, কিন্তু গ্লেন্ডাল প্রথম মার্কিন শহরগুলির মধ্যে একটি যেখানে শহরব্যাপী প্রোগ্রাম ডিজাইন করে ঘরে ঘরে চালু করেছে উভয় ধরণের স্মার্ট মিটার এবং তাদের সাথে সংযুক্ত করেছে একটি স্মার্ট গ্রিড । শহরগুলি সংযুক্ত ডিভাইস এবং সরবরাহ করা ডেটাগুলি দিয়ে আরও দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে সক্ষম হয় । তারপর তারা পানি এবং শক্তি বাঁচানোর উপায়গুলি নিয়ে নাগরিকদের বাস্তব সময়ে টিপস এবং প্রতিক্রিয়া প্রদান করে ।
কলকাতা, ভারত স্মার্ট সিটি অ্যাপ
কলকাতার স্মার্ট সিটি অ্যাপ্লিকেশন নাগরিকদের ঘটনা, ঠিকানা, পরিষেবা এবং আরও অনেক কিছু সন্ধান করতে সহায়তা করে । এর মধ্যে কিছু বাসের সময়সূচী, শহরের ল্যান্ডমার্কগুলির অডিও ভ্রমণ এবং ঘটনা সম্পর্কে আপডেট সহ বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস দিচ্ছে ।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ও স্মার্ট ইউটিলিটি
বিটিআরসির তথ্য মতে, বাংলাদেশে ইতিমধ্যে আইওটি এর রূপকল্প শুরু হয়েছে । আইওটি ডিভাইসসমূহ আমদানি করার জন্য বিটিআরসি একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে । ইতিমধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই সেবা শুরু করেছে । পিডিবির স্মার্ট মিটার, ডিএসসিসির এলইডি লাইট নিয়ন্ত্রণ, ওয়াসার পানির এটিম বুথ প্রকল্প ইত্যাদি আইওটি ও স্মার্ট ইউটিলিটির অন্তর্ভুক্ত ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন